Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts

Mar 10, 2021

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফের সড়ক দূর্ঘটনায় ৩০ হাজার ডিম নষ্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফের সড়ক দূর্ঘটনায় ৩০ হাজার ডিম নষ্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ডিম ভর্তি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে ৩০ হাজার ডিম নষ্ট হয়েছে। বুধবার (১০ মার্চ) ভোরে পোল্লাডাংগার ইসলামপুর নামক গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।



স্হানীয়দের সুত্রে জানা যায়; ভোর ৫ দিকে নিয়ামতপুর থেকে ডিম নিয়ে একটি ছোট পিকআপ ভোলাহাটের উদ্দেশ্যে আসছিল। এ সময় ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পোল্লাডাংগার ইসলামপুর নামক গ্রামের মসজিদের সামনে গাড়ির দুটি চাকা পাম্পচার হয়ে গেলে ড্রাইভার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের পোলে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে গাড়িটির সামনের দিক ভেঙ্গে যায়। গাড়ি ভর্তি ৩০ হাজার ডিম সবগুলোই ভেঙ্গে দিয়ে নষ্ট হয়। গাড়ির ধাক্কায় বৈদ্যুতিক খুঁটিও ভেংগে যায়।


ঘটনায় ড্রাইভার ও হেলাপার কারো কোন ক্ষতি হয়নি। গাড়ির ড্রাইভার নিতেন জানায় আমাদের মোট ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুৎতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আরব আলীর শেখ বলেন, আমাদের কাছে গাড়িটি আটক আছে আগামীকাল গাড়ি মালিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে গাড়িটি নিয়ে যাবে। দ্রুত খুঁটিটি মেরামত করা হবে।

Mar 6, 2021

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ হচ্ছে

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ হচ্ছে


পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগসহ অনার্স-মাস্টার্স করার সুযোগ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আকাক্সক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের কাছে চিঠিও দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, গাজীপুরের ডুয়েটে কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানে ডিপ্লোমা করার পর ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও সরকার ৪ জেলায় ৪টি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করবে। সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ সরাসরি ভর্তির সুযোগ পাবে। এ কলেজগুলো বুয়েটের তত্ত্বাবধানে চলবে। এর ফলে প্রচুরসংখ্যক ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। এর বাইরেও সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ভর্তির পথ বের করার চেষ্টা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


সম্প্রতি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগের দাবিসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে। শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক এবং ৪৫০-এর বেশি বেসরকারি পলিটেকনিক রয়েছে। যেখান থেকে প্রতিবছর প্রায় হাজার হাজার ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বের হয়; কিন্তু বেশির ভাগেরই পড়ালেখার যাত্রা এর পর থেমে যায়। বর্তমানে ৫শর বেশি পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য একই প্রতিষ্ঠান ডুয়েট। ডুয়েটের মতো এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় আর কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেনি সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী


ডা. দীপু মনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে প্রতিষ্ঠানেই পড়ুক তার যদি উচ্চশিক্ষা নেওয়ার মেধা-যোগ্যতা থাকে, তা হলে সে সুযোগ যেন তারা পায়। সে কারণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তিতে বয়সের বাধা তুলে দিয়েছি। আমি সব বিশ্ববিদ্যালকে দিঠি দিয়েছি, তারা যেন পলিটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হবে। যদি কোয়ালিফাই করে, তা হলে নেবে না কেন?’


মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তির যোগ্যতা এইচএসসি। আর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি ও সমমান উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি দুই বছর পেরিয়ে গেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান না। এ কারণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পাস করা শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ চাইলেও তা পান না। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স ভর্তির বিষয়ে সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নেন।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দেন এসব শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা নিতে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

Jan 10, 2021

কমলো ধান-চালের দাম

কমলো ধান-চালের দাম




উর্ধ্বমুখী ধান-চালের বাজার এবার কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন সরকার চাল আমদানির ঘোষণা দেয়ার পর মিলমালিক ও আড়তদাররা বাজার থেকে ধান কেনা বন্ধ করায় দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে চিকন জাতের যে ধান ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছিল তা এখন ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ১১৩০ থেকে ১১৭০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে বাজারে চালের দাম গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৪ শতাংশ কমেছে। নাজির ও মিনিকেট বা চিকন চালের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৬ টাকা কেজি। তা এখন কমে ৫৬ থেকে ৬২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম ৫৩ থেকে ৬০ টাকা কেজি ছিল তা এখন কমে কেজিতে ৫০ থেকে ৫৮ টাকা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

নওগাঁর মিল ও চাল আড়তদাররা ধান কেনা বন্ধ করে দেয়ার ফলে বাজারে প্রতি মণে ধানে কমেছে চিকন জাতে ২০ টাকা এবং মোটা জাতে ৫০ টাকা। অপরদিকে মিল ও চাল আড়তদারদের গুদামে মজুতকরা চাল বাজারে সরবরাহ করায় চালে প্রতি মণ কমেছে ১০০-১৫০ টাকা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সচেতন মহলরা অভিযোগ করে বলেন, আমন ধান-কাটা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুমেও মিল ও চাল আড়ৎদারদের কারসাজিতেই ধানের তুলনায় চালের বেশি দাম কমেছে।

সরকারের সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় প্রায় প্রতি বছর নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলছে ধান-চালের বাজার। সময়ের দাবি বাজার নিয়ন্ত্রণে সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের দাবি ধান-চাল বিশ্লেষক ও সচেতন মহলের। জানা গেছে, খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। নওগাঁয় প্রতি বছর জেলার ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হলেও দফায় দফায় চালের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা জেলার চাল কল মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা না করায় নিয়ন্ত্রণ আসেনি ধান-চালের বাজার। সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা কার্যকর কোন ভূমিকা পালন করার সুযোগে জেলার কয়েকজন বড় বড় ধান-চাল মিলার ও ব্যবসায়ী লাখ লাখ মেট্রিক টন মজুত করে বাজারে চালের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী করে বেশি ফায়দা লুটেছেন। ফলে গত মাসখানেক আগে আবারও ধানের বাজার বৃদ্ধির অজুহাতে চালের দাম বৃদ্ধি পায় নওগাঁর বাজারে।

নওগাঁ সদরের ঝাড়গ্রামের নাজমুল হক, শরিফপুর গ্রামের বায়েন উদ্দিন, মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌড়ী গ্রামের লজির উদ্দিনসহ অনেক কৃষককের সাথে কথা হয় ধান কেনা-বেচার হাট মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌড়ীতে। কৃষকরা জানান, গত আমন মৌসুমে তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় অর্ধেক ধান অর্থাৎ কম উৎপাদন হয়েছে। গত আমন মৌসুমে প্রতি বিঘায় র্স্বণা ২০ মণ থেকে ২৪ মণ, জিরাশাইল ১০ মণ থেকে ১৬ মণ উৎপাদন হয়েছে। আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের শুরু থেকে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খরচ ঘরে উঠে আসছে। তবে অনেক চাষিদের লোকসান গুণতে হচ্ছে ধানের ভালো দাম না পাওয়ায়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, জেলায় পরপর চার বারের বন্যায় ৫ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমির ধান সম্পন্নভাবে বিনষ্ট হয়ে যায়। বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পর জেলায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। গড়ে হেক্টর প্রতি চালের আকারে উৎপাদিত হয়েছে ৩ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। এতে জেলায় মোট ৬ লাখ ১২ হাজার ১৭৫ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হাজার ১১৫ মেট্রিক টন বেশি চাল উৎপাদন হয়েছে।

নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন জানান, জেলায় গত আমন মৌসুমের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে ধান কম উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কৃষি বিভাগ ঘরে বসে বাম্পার ফলনের তথ্য সরকারের কাছে দিয়েছে। ফলে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগ ঘরে বসে ধান উৎপাদনের হিসেব সরকারের কাছে না দিয়ে মাঠ পর্যয়ের সঠিক তথ্য দিলে সরকার আরো আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারতো। কৃষি বিভাগকে ঢেলে সাজানোর দাবিও জানান তিনি।
এমতাবস্তায় সরকারি ভাবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি ঘোষণা দেওয়ায় পর নওগাঁর মিল ব্যবসায়ীরা হাট-বাজার থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দেন। পরে মিল ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেওয়া দামে ধান কিনতে হচ্ছে ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ীদের। ফলে বাজারে মোটা জাতের প্রতি মণে দাম কমেছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। আর চিকন জাতের কমেছে ৩০ টাকা।

রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে কথা হয় ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ীদের। আমজাদ হোসেন, কাশেম সরদারসহ অন্যরা জানান, সরকারের চাল আমদানি ঘোষণা দেওয়ার আগে বাজারে জিরাশাইল ধান প্রতি মণ ১৩২০ টাকা থেকে ১৩৩০ টাকা এবং মোটা জাতের স্বর্ণা ১১৪০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা কেনা-বেচা হয়েছে। চাল আমদানি করার ঘোষণা দেওয়ারপর মিল ব্যবসায়ীরা ধান কেনা বন্ধ করে দেন। দু’দিন পর আবারো মিল ব্যবসায়ীরা ধানের দাম বেঁধে দেওয়ায় ধানের দাম কমেছে প্রতি মণে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। আর চিকন জাতের কমেছে ৩০ টাকা। বর্তমানে নওগাঁয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল জিরাশাইল ৫৮ টাকা, মোটা জাতের স্বর্ণা ৪৪-৪৫ টাকা, মোটা বিআর-২৮ জাতের ৫২ টাকা, কাটারিভোগ ৬০ টাকা।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাউল ব্যবসায়ী সমিতির চাউল ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন, নগেন্দ্র পালসহ অন্যরা জানান, নওগাঁয় চালের কোন ঘাটতি নেই। সরকার চাল আমদানি ঘোষণা দেওয়ায় এক দিকে নওগাঁর মিলারদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার থেকে কম ধান কিনছে অন্যদিকে তাদের গুদামে হাজার হাজার মেট্রিক টন মজুত করা চাল সরবরাহ করছেন। জেলার মিল ও চালের আড়ৎদাররা কম দামে চাল বিক্রি করায় নতুন চালে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ২-৩ টাকা। নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করলেও চাল আমদানি ঘোষণার পর বাজার থেকে মিলার ধান কেনা বন্ধসহ গুদামে মজুতকৃত চাল বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে এই চাল কল মিল নেতা।

ধান-চাল বিশ্লেষক জয়নাল আবেদিন মুকুল জানান, সরকারের চেয়ে ব্যবসায়ীদের মজুত করার ক্ষমতা বেশি এবং সরকারি গুদামে ধান-চাল কম মজুত থাকায় ধান-চাল বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে মিলারদের সিন্ডিকেট ভাঙা অথবা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে চাল উৎপাদন করে সরকারি গুদামে মজুত বাড়াতে হবে।

হিলি দিয়ে আসতে শুরু করেছে চাল : হিলি (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে চালের দাম অস্থির বিরাজ করছে। এমন সময় দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ভারত থেকে চাল আমদানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে মেসার্স জগদিশ চন্দ্র রায় নামের একটি প্রতিষ্ঠনের প্রথম চালানে ৩ গাড়িতে ১১২ মে. টন স্বর্না-৫ চাল আসার মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি কার্যক্রম শুরু হলো।

আমদানিকারক মেসার্স জগদিশ চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শ্রী পদ জানান, সরকারের বিভিন্ন শর্তবলী মেনে ১০ হাজার মে. টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর থেকে শুধু মাত্র আমাদের প্রথম চালানের ৬০০ মে. টনের মধ্যে ১১২ মে. টন চাল দেশে প্রবেশ করলো। আশা করছি অন্যান্য আমদানিকারকদের আমদানিকৃত চাল ২-১ দিনের মধ্যে বন্দরে প্রবেশ করবে। আর চাল আমদানি শুরু হলে এবং সঠিক সময়ে দেশের বিভিন্ন মোকামে আমদানিকৃত চাল সরবরাহ করতে পারলে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসতে শুরু করবে।

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ৩৫ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে দেশে চালের চালান আসলো বাংলাদেশে। বন্দরে ৩৫৬ ডলারে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন বন্দরের অনান্য প্রতিষ্ঠানও চাল আমদানির জন্য এলসি করেছে । চাল আমদানির পুরোদমে শুরু হলে বাজারে চালের দামও কমে আসবে।

আমার রাজশাহী

Nov 5, 2020

মাসব্যাপী যেসব এলাকায় বিদুৎ থাকবেনা

মাসব্যাপী যেসব এলাকায় বিদুৎ থাকবেনা

রাজধানীর একাংশে আজ বৃহস্পতিবার থেকে মাসব্যাপী পালাক্রমে দৈনিক আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের কারণে রাজধানীর উত্তর অংশের মিরপুর, বনানী, গুলশান, বসুন্ধরা, উত্তরাসহ বেশ কিছু এলাকা এবং টঙ্গীতে গ্রাহকেরা দিনে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকবে।


ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) গত ২ নভেম্বর দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজধানীর একাংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেয়। আজ থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী এ সূচিতে ৩২টি সাব স্টেশন মেরামতের কাজ শেষ করবে ডেসকো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের প্রথম দিন ৫ নভেম্বর মিরপুরে স্টেডিয়াম সুইচিং উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এতে মিরপুর স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া পল্লি কমপ্লেক্স এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

৮ নভেম্বর বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
সেদিন কাকলি এসএস উপকেন্দ্রের মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না গুলশানের কয়েকটি সড়ক, কাকলি বাসস্ট্যান্ড থেকে বনানী বাজার দক্ষিণাংশ, বনানী পোস্ট অফিস ও বনানীর বেশ কয়েকটি সড়কে।

৯ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
সেদিন মেরামত করা হবে দক্ষিণখান এসএস উপকেন্দ্র। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না মাজার চৌরাস্তা, উত্তরখান মধ্যপাড়া, বালুর মাঠ, শাহী মসজিদ রোড, মুণ্ড, পুলারটেক, জামতলা, গাজিপাড়া, ময়নারটেক, চানপাড়া, উত্তরখান উত্তরপাড়া, উজামপুর, মাউসাইড, চাপানেরটেক, জিয়াবাগ, মোল্লাপাড়া, শ্যামলবাগ, আদর্শপাড়া, রাজ্জাকটাওয়ার ও সংলগ্ন এলাকা, ফজিরবাতান, তালতলা উত্তরখান, মিয়াপাড়া, পুরানপাড়া, কুড়িপাড়ারটেক, বড়বাগ, ফায়দাবাদ, তেরমুখ, হিন্দুপাড়া, স্নানঘাট, গুদারাঘাট, চাপানেরটেক, দক্ষিণখান বাজার ও সংলগ্ন এলাকায়।

১১ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
উত্তরা গ্রিড এসএস ও টঙ্গী-৩ এসএস এর সংস্কার করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি রোড, উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ, উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে। একইদিনে বিদ্যুৎ থাকবে না টঙ্গী থানা, টঙ্গী রেল স্টেশন ও টঙ্গীর কয়েকটি এলাকায়।

১২ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
মিরপুর এসএস ২, মহাখালী এসএস ও কালাচাঁদপুর সুইচিং সাবস্টেশন মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কো-অপারেটিভ মার্কেট, শাহ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাজার, উত্তর বিশিল তুরাগ সিটি, বেড়িবাঁধ, গোলারটেক, হরিরামপুর, প্রিয়প্রাঙ্গণ হাউজিং, জাহানারাবাদ, মিরপুর নিউ মার্কেট, ঢাকা চক্ষু হাসপাতাল, জনতা হাউজিং এলাকা, মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল, সেতু ভবন থেকে কাকলি বাসস্ট্যান্ড এয়ারপোর্ট রোডের পূর্ব পাশে, বারিধারা কে ব্লকের কয়েকটি রোড, ইউএন রোডের আংশিক অংশ ও নর্দা থেকে প্রগতি সরণি হয়ে কুড়িল বিশ্বরোডে।

১৫ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
আগারগাঁও নিউ এসএস, মিরপুর ডিওএইচএস এসএস, গুলশান-১ এসএস, দক্ষিণ খান উপকেন্দ্রে মেরামত হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না মিরপুর ডিওএইচএসের বেশ কয়েকটি এভিনিউ, গুলশান-১ এর ২৩,২৪, ২৭,২১, ৩০,২৮ নম্বর সড়ক এবং কয়েকটি রোডে। এ ছাড়া পশ্চিম আগারগাঁও, পানির ট্যাংকের মোড়, জেলা নির্বাচন অফিস, এলজিইডি জোনাল অফিস, বারেক মোল্লার মোড়, কাশেমের দোকান, উত্তর পীরেরবাগ, মাইকের দোকান, শেওড়াপাড়া আনন্দ বাজারসহ সংলগ্ন এলাকায়।

১৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
টঙ্গীতে বিসিক উপকেন্দ্র মেরামত হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না বিসিক পানির ট্যাংকের পূর্ব পাশসহ আশপাশের এলাকায়।

১৮ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
এডিএ এসএস মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না কাওলা মোল্লাবাড়ি, আশিয়ান সিটি রোড, আশকোনা, হাজিক্যাম্পসহ আশপাশে এলাকায়।

১৯ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
বসুন্ধরা এসএস, মিরপুর এসএস-২ মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অধিকাংশ এলাকা, আইইবি, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রামীণফোন, যমুনা ও যুগান্তর অফিসে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ থাকবে না মিরপুর স্বাধীন সুপার মার্কেট, শাহ আলী বাগ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ আশপাশে, মিরপুর-১ সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প, ডেলটা হাসপাতাল ও টোলারবাগ আবাসিক এলাকায়।

২২ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
হেলথ সায়েন্স এসএস, গুলশান-১ এসএস, দ্বিগুণ এসএস, মিলগেইট সুইচিং উপকেন্দ্রের মেরামত চলবে। সেদিন গুলশান-১ নম্বরের বেশ কয়েকটি সড়কসহ ডিসিসি মার্কেট ও গুলশান অ্যাভিনিউতে বিদ্যুৎ থাকবে না। একইদিনে বিদ্যুৎ থাকবে না পল্লবী আবাসিক এলাকা, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ভবন, অলিম্পিয়া ও জেরিন টেক্সটাইল, আনসার ক্যাম্প, টোলারবাগ, কল্যাণপুর নতুনবাজার, ঝিলপাড় বস্তি এলাকায়।

২৩ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
বারিধারা উপকেন্দ্র মেরামত হবে। এদিন শাহজাদপুর, আমেরিকান দূতাবাস, জাপান ও চীন দূতাবাস এবং উত্তর বাড্ডা হাজীপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না।

২৫ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
জোয়ারসাহারা এসএস, টঙ্গী-৩ এসএস এবং উত্তরা গ্রিড উপকেন্দ্র মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না কুড়িল বিশ্বরোড, হোটেল রেডিসন , মানিকদী, বারনটেক, বালুঘাট, লিচুবাগান, শেওড়া বাজার, কামারপাড়া রোড, ইজতেমা মাঠ ও উত্তরার ১২,১৩, ১৪ নম্বর সেক্টর, দিয়াবাড়িসহ আরও কয়েকটি এলাকায়।

২৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
মিরপুর-৬ নম্বর সেকশন উপকেন্দ্র, এসএস-৩ সুইচিং, নিউ টঙ্গী গ্রিড উপকেন্দ্র মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, কিডনি ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল হাউজিং, সানোফি ফ্যাক্টরি, বড়বাগ ও আশপাশের এলাকায়।

২৯ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
ক্যান্ট পার্ক ও সিভিল অ্যাভিয়েশন সুইচিং, ধামালকোট উপকেন্দ্র ও নিকুঞ্জ উপকেন্দ্র মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না সেনাপ্রধানের বাসভবন, সেনা সদর থেকে গ্যারিসন মসজিদ, সেনানিবাস এলাকা, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, হোমিও মেডিকেল কলেজ, ভাসানটেক থানায় এলাকায়।

৩০ নভেম্বর বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
উত্তরা এসএস ও টঙ্গী-২ এসএস মেরামত করা হবে। এদিন বিদ্যুৎ থাকবে না উত্তরায় সেকশন-৪ ও ৬ এর কয়েকটি এলাকায়, আজমপুর থেকে আবদুল্লাহপুর সড়কের দুপাশের এলাকায়।

Apr 23, 2020

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা লিংক-3 বিশেষ ছাড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা লিংক-3 বিশেষ ছাড়


চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাইস্পিড ইন্টারনেট সেবা নিয়ে এলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার লিংক-3।ইন্টারনেট সেবা লিংক-3 বিশেষ ছাড়।

কোয়ালিটি সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ঢাকাসহ অনেক বিভাগ ও জেলাতে বেশ ভালোই নামডাক কামিয়েছে।এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বল্প খরচে হাইস্পিড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে লিংক-3।

লিংক থ্রি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জোনের ডিস্টিবিউটর ফেরদৌস অনু বলেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমরাই প্রথম, অন্যান্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার তুলনায় আমরা নিয়ে এসেছি হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড সেবা।

তরুণ প্রজন্মের নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারব কারীদের কথা মাথায় রেখে আমরা সাশ্রয়ী কিছু প্যাকেজ নিয়ে এসেছি তাদের জন্য। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ৯ এমবিপিএস(Mbps) স্পিড ইন্টারনেট ৮৯০ টাকা। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা প্রদান, যেকোন সমস্যায় অল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে 
গ্রাহকদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলায় এই হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আগ্রহীনের ০১৭৭৫৫২৪৭৪৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন www.link3.net এই ওয়েবসাইটে।


গ্রাহকদের মধ্য থেকে শিয়াম নামে একজন বলেন,আমার বাসায় এর আগেও অনেক ব্রডব্যান্ড এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছি কিন্তু উচ্চমানের স্প্রিড কোথাও পাইনি।

ইমন নামে একজন গ্রাহক বলেন,যেমন দ্রুত সেবা দেয়,ঠিক তেমন দ্রুতগতি ইন্টারনেটের।আমরা সব সময় চাই আমাদের ইন্টারনেটের স্প্রিড যেন বেশি থাকে,ঠিক আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছে জেলার নতুন ব্রডব্যান্ড লিংক-3।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক Link 3 নতুন গ্রাহক বলেন,এখকার বর্তমান সংস্কৃতিতে তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন অনলাইন ইন্টারনেটের গেমের নেশা আসক্তি,তাই চাই উত্তম মানের উচ্চ মানের স্প্রিড।লিংক থ্রি আমার আস্থা আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।